ধর্ষণ মামলার পর ছাত্রলীগ নেতার ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা

ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার পর মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2018, 03:56 PM
Updated : 22 Feb 2018, 03:57 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে রেজাউল ইসলাম আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে তার স্ত্রীর ভাষ্য।

রেজাউলকে মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ মমো সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রেজাউল আহত হয়ে প্রায় এক মাস ধরে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

“এদিকে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক স্কুল শিক্ষিকা রেজাউলের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন।”

এসব ঘটনায় রেজাউল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং বৃহস্পতিবার বাড়ির একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে মমো জানান।

মমতাজ মমোর অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা রেজাউলের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের জন্য বেশ কয়েক দিন যাবত মামলার ভয় দেখিয়ে আসছিলেন, যা না দেওয়ায় সে মামলাটি করেছেন। 

রেজাউলের বিরুদ্ধে আনা ওই শিক্ষিকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করছেন মমো।  

রেজাউলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ব্যাংকে চাকরি প্রার্থী হয়ে বাদী রেজাউল ইসলামের কাছে গেলে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রেজাউল। কিন্তু পরবর্তিতে রেজাউল তাকে বিয়ে না করে প্রতারণার আশ্রয় নেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান ওমর ফারুক।

এদিকে, মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রেজাউলকে একটি প্রাইভেট হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, রেজাউল তিন ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের আগ্রহে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।