শাবির গণিত বিভাগে রজতজয়ন্তী উৎসব

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে দুইদিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উৎসব শুরু হয়েছে।

হোসাইন ইমরান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2018, 12:37 PM
Updated : 11 July 2020, 01:32 PM

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগের সামনে বেলুন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

পরে সেখান থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গিয়ে মিলিত হয়।

এরপর বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের সামনে কেক কেটে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধনের পর সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভাগের শিক্ষকসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকেন।

উৎসব উপলক্ষে ব্যানার, ফেস্টুন আর নানা রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

কর্মজীবনের ব্যস্ততা থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকতে প্রিয় ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়র আর প্রিয় মানুষগুলোর আলিঙ্গনে মেতে ওঠেন আনন্দ আড্ডা ও স্মৃতিচারণে।

একই রঙের টি-শার্ট, টুপি পরে সুর মিলিয়ে গান, আড্ডা আর ব্যান্ডদলের ঢোল, করতাল ও বাশিঁর সুরে শোভাযাত্রা হয়ে ওঠে আনন্দমুখর।

অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে উৎসবে এসেছেন।

দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ এসেছেন ৯৬-৯৭ সেশনের শিক্ষার্থী বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, “অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে আসলাম। বন্ধু-বান্ধব, নতুন নতুন জুনিয়রের মুখ এবং শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগছে। আগে যেরকম ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতাম, এই দুইদিন সেইভাবে আড্ডায় মেতে উঠব সবাই। এটা অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল।”

ব্যস্ত কর্মজীবন থেকে একটু দূরে এসে স্বস্তি খুঁজেছেন ৯৭-৯৮ সেশনর শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোরাদ। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের পূবালী ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

কিবরিয়া বলেন, “মুক্ত বিহঙ্গের মতো ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছি। কর্মজীবনের সকল ক্লান্তি মুছে দিতে চাই।”

এই বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ঢাকায় জনতা ব্যাংকে কর্মরত নুসরাত জাহান বলেন, স্বামীসহ এক ছেলে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে পুরনো স্মৃতির মধ্যে বারবার হারিয়ে যাচ্ছেন।

দুইদিনের অনুষ্ঠানে শুক্রবারের সূচিতে রয়েছে সকাল ১০টায় বিভাগে অ্যালামনাইদের মিটিং, দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান এবং সন্ধ্যা ৬টায় গণিত সমিতির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উৎসব সম্পর্কে বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি গণিত পরিবারের সকলের অংশগ্রহণে মনে রাখার মতো একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করতে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মজীবনের ব্যস্ততা রেখে আমাদের পরিবারের সদস্যরা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। সকলের সহযোগিতায় আমরা একটা উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছি।”

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বিভাগীয় প্রধান আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান অধ্যাপক মিরাজ উদ্দিন মন্ডল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস ও অধ্যাপক আহমেদ কবীর।