বুধবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার ইকোরচালী আউনিয়নের বামনদিঘী এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ হেল বাকি জানান।
নিহতদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন মিয়া (৫৫) নামের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আর এক নারী ও এক শিশুর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
এরা সবাই পিকআপের আরোহী ছিলেন।
ওসি বাকি বলেন, রংপুর থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানটি নীলফামারীর সৈয়দপুর যাচ্ছিল। পথে রংপুরগামী হক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপের আরোহীরা ছিটকে সড়কে পড়ে আহত হয়।
“তাদের মধ্যে ১৫ জনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, হাসপাতালে আনার পথে শাহাবুদ্দিন ও এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে মারা যায় আরেক শিশু। তিনটি লাশই হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, আহতরা মাথায়, হাতে ও পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪/৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।