রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অমিত কুমার দে এক রায় দেন।
রায়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়, যা অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডিত শ্যামল শীল কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বড়গুফ বাজার গ্রামের মৃত কৃষ্ণ মোহন শীলের ছেলে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার সময় তিনি বেনাপোলের গাজীপুর গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বেনাপোল বাজারে তিনি রোগী দেখতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এম ইদ্রিস আলী জানান, আলিম পাশ করে ওই তরুণী চাকরি খুঁজছিলেন। এ সময় এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আসামি শ্যামল শীলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শ্যামল শীল মেয়েটিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
পিপি বলেন, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর মেয়েটি তার এক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে বেনাপোল গিয়ে শ্যামল শীলের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি মেয়েটি ও তার ভাইকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
“গভীর রাতে শ্যামল শীল মেয়েটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”
পিপি বলেন, পরদিন তিনি ধর্ষণের অভিযোগে শ্যামল শীলকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর আলম খান শ্যামল শীলকে আসামি করে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।