বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পরে উপ-উপাচার্য মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে মারধরের শিকার আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম এনামুল জহির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অসুস্থ মেয়েকে বুধবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন ওই শিক্ষক। মেয়ের জন্য ওষুধ আনার সময় এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এক পর্যায়ে দুজনের কথাকাটাকাটি হয়।
মারধরে জড়িতদের বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন এবং ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বেলা মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন।
বুধবার রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে শিক্ষক এনামুল জহিরের। এতে দুজনের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক অন্য চিকিৎসকদের ডেকে এনে তাকে মারধর করেন।
তবে ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎকের অভিযোগ, তাকে খারাপ ভাষায় গালি দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
আর এনামুল জহিরের দাবি, তিনি কোনো গালি দেননি।