‘বাদী’ পেটাল আসামীর আইনজীবীকে

রংপুরে আদালতে আসামির আইনজীবীকে পেটানোর অভিযোগে ওই মামলার বাদী ও তার বোনকে আটক করেছে পুলিশ।

রংপুর প্রতিনিধিশাহজাদা মিয়া আজাদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2018, 03:06 PM
Updated : 15 Feb 2018, 03:06 PM

বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকক্ষের বাইরে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই আদালতের পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান।

আটকরা হলেন একটি যৌতুক মামলার বাদী এসমোতারা খাতুন ওরফে নওরীন (২৫) ও তার বোন রিয়া বেগম (২২)।

এ ঘটনায় সামছিয়া বেগম নামের ওই আইনজীবী এসমোতারা ও রিয়াকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে পিপি তুহিন জানান, রংপুর নগরীর গুড়াতিপাড়ার এসমোতারাকে তালাক দেওয়ায় তিনি তার স্বামী ওবায়দুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা ওবায়দুল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে তার আইনজীবী সামসিয়া বেগমের মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

“অপরদিকে বাদীর আইনজীবী জামিন বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জাবিদ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সময় বৃদ্ধির আদেশ দেন।” 

সামছিয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওবায়দুল আদালত থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার উপর হামলা চালান এসমোতারা। তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। ওবায়দুলকে রক্ষা করতে তিনি এগিয়ে যান। 

“এসময় এসমোতারা ও তার বোন রিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর আক্রমণ চালিয়ে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা আমাকে বারান্দায় ফেলে দেন এবং এসমোতারা আমার গলা টিপে ধরেন।”

সামছিয়া বলেন, অন্য আইনজীবীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা করেন।

“আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি নিয়ে এসমোতারা ও রিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি।” 

রংপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সমিতির সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে হামলার শিকার আইনজীবীকে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”     

কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৫৩/৩৫৪/১০৯ ধারায় মামলা হয়েছে। আটক দুজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”