আহত রায়হান রাব্বি তাসিন (১৬) বগুড়া আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শেণির ছাত্র। সে শহরের কালিতলার জুয়েল হোসেন সোহাগের ছেলে।
তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান মেডিকেলের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈম আহম্মেদ দিপু বলেন, “তাসিনের অবস্থা খুব খারাপ। তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।”
বিকালে হাসপাতালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এটিএম মোস্তফা কামাল বলেন, স্কুল চলাকালে ভবনের ৫ম তলা থেকে নিজেই লাফ দেয় তাসিন। মাটিতে পড়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার সহপাঠীদের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ আরও বলেন, “সে তার ফেসবুকে লিখেছে আজই তার শেষ দিন। তবে কী করণে সে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে তা জানা যায়নি।”
স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, “পারিবারিকভাবে সে বিপর্যস্ত ছিল। স্কুলে সে প্রায়ই অমনোযোগী থাকত। তার বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকেই তাসিন মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে।”
সহপাঠী এরফান ইমতিয়াজ বলেন, “আনুমানিক ২টার দিকে তাসিন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সে রক্তক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।”
এরফান আর বলেন, আজ তাসিন তার ফেসবুকে লিখেছিল তার জীবনের শেষ দিন আজ।
তাসিনের বাবা জুয়েল হোসেন সোহাগ বলেন, “প্রতিদিনের মতোই আমার ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। হঠাৎ দুপুরে খবর পাই সে ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কী করণে ছাদ থেকে সে পড়ে গেল তা এখন বলতে পারছি না।”