দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, পাগলা এলাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বুধবার তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সাভিসের ডুবুরিরা।
মৃত মোহাম্মদ শান্ত (১৬) কেরানিগঞ্জের পাগলা এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম রতনের ছেলে। ব্যবসা শিক্ষা থেকে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল সে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তর চার বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এনায়েত উল্লাহ জানান, বুধবার পরীক্ষা না থাকায় শান্ত তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীর পশ্চিমপাড়ে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও এলাকায় ঘুরতে যায়। বিকালে ফেরার পথে পাগলা খেয়াঘাটের কাছাকাছি এলে ট্রলার থেকে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায় শান্ত। ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছার পর তার বন্ধুদের একজন এসে কোস্টগার্ড স্টেশনে ঘটনা জানায়।
“কোস্টগার্ডের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে শান্তকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।”
শান্তর পরিবার পাগলা নয়ামটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। চার ভাইয়ের মধ্যে শান্ত দ্বিতীয়। তার লাশ নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শান্তর বাবা রতন বলেন, শান্ত ও তার চার বন্ধু পানগাঁও এলাকায় ঘুরতে যায়। আসার পথে ট্রলার থেকে পড়ে শান্ত মারা গেছে বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছে।
কীভাবে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে সেই রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ আবুল হাসনাত বলেন, শান্তর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শান্তর বন্ধুরা হলো রুলেল, শফিকুল ইসলাম, রাব্বি ও মেহেদী হাসান।