নিহতহ পারভীন বেগম (৩৫) উপজেলার উমার ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের (৪০) স্ত্রী।
পারভীনের বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “রাতে মায়ের গোঙ্গানি শুনতে পেয়ে আমি ও আমার বোন পাশের ঘরে গিয়ে দেখি, মায়ের নাক-মুখ ও পিঠের বাঁদিক থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে। তার পিঠে ছুরি ঢোকানো হয়েছে। আর তার মুখে কাপড় গোঁজা দেখতে পাই। আমাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলেও ঘটনাস্থলেই মা মারা যান।”
মৃত্যুর পরপরই রহমান পালিয়ে যান বলে তিনি জানান।
রহমান এর আগে ঢাকায় রিকশা চালালেও দুই সপ্তাহ আগে বাড়ি এসে আর ঢাকায় ফেরেননি বলে পরিবার জানিয়েছে।
নিহতের বাবা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কানুছপাড়া গ্রামের মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, “রহমান ঢাকায় একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে। পারভীনকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে চায়। ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে পারভীনের ওপর নির্যাতন শুরু করে।”
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারিও রহমান হাঁসুয়া দিয়ে পারভীনের গলা কাটার চেষ্টা করেন বলে আইয়ুব হোসেনের অভিযোগ।
ধামইরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আইয়ুব হোসেন মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে রহমান পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।