বুধবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আতহার আলী ওরফে পরান বাবু বাগেরহাটের সদর উপজেলা ডেমা গ্রামের ইউসুফ তরফদারের ছেলে।
প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া এ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন এবং অপর ২৯ আসামিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হলেন- আব্দুর রশিদ। তাকে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিতে হবে অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান, হান্নান, রবিউল শিকদার, রাজ্জাক শিকদার, বাবুল হাওলাদার, আব্দুর রব শেখ, আব্দুল করিম শেখ, খলিল শেখ, হাদিস গাজী, মোজাহার গাজী, আনোয়ার হাওলাদার, কালা বাবুল, দিপু ওরফে দিপঙ্কর, হাকিম, হেমায়েত, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রব শিকদার, ফরহাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল ওহাব, গোলাম ফারুক, বাবুল হাওলাদার, পিকলু সরদার, শুক ওরফে সুলতান, মাসুদ শেখ, তরিকুল ইসলাম, মোজাহার ওরফে মোতাহার গাজী, আসাদ শেখ ও আজাহার ওরফে মোজাহার তরফদার।
তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২৬ জন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামিরা ২০০১ সালের ১৮ জুন সকালে পরান বাবু এবং ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাজিরহাট গ্রামের সোহরাব আলী শেখের বাড়ি যান।
এ সময় সোহরাব বাড়ি থেকে পালাতে গেলে তাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পরানের স্ত্রী কহিনুর বেগম ওই দিন ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মোড়েলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলাম ওই বছর ১১ ডিসেম্বর ৩৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।