সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শশীকর গ্রামসহ আশপাশের এলাকার মানুষ বুধবারের এই পূজার জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বড় মূর্তি সেই আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে।
মূর্তিটি তৈরি করছেন স্থানীয় প্রতিমাশিল্পী হরষিত বিশ্বাস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী বলবান হনুমানের বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। হিন্দুরীতি অনুসারে বুধবার থেকে তিন দিন চলবে এই পূজা।”
দেড় মাস ধরে বিগ্রহটি তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মাটির কাজ শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের রং-তুলির কাজ। রাতের মধ্যে কাজ শেষ হবে। বিগ্রহটির মূল উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। বেদি আর মুকুট মিলিয়ে ২৫ ফুটের বেশি।”
পূজা উপলক্ষে এলাকায় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
সবার মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য এই আয়োজন বলে জানালেন পূজা কমিটির সভাপতি তারাপদ বাড়ৈ।
তিনি বলেন, “সকল পূজার মূলেই শান্তি। মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার সীমান্ত এই এলাকাটিতে দুই জেলার মানুষ পাশাপাশি থাকি। ভালো-মন্দ সবই আমরা ভাগাভাগি করে নিই। তাই দুই জেলার মানুষের মাঝে সম্প্রীতি তুলে ধরতেই এই পূজার আয়োজন।”
এমন আয়োজনে মনে-প্রাণে খুশি এলাকার ছেলে-বুড়ো সবাই।
কোটালীপাড়ার স্কুলছাত্র নয়ন জয়ধর বলেন, “এলাকায় এত বড় আয়োজন দেখে আমরা খুব আনন্দিত। পূজা উপলক্ষে আমাদের অনেক বন্ধু দূর থেকে ছুটে এসেছে।”