নারায়ণগঞ্জে যুবলীগকর্মী হত্যায় মামলা

খালেদার মামলার রায়কে সামনে রেখে এলাকায় অবস্থান নেওয়া নিয়ে নারায়ণগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2018, 12:02 PM
Updated : 9 Feb 2018, 12:02 PM

নিহত সুমনের শাশুড়ি কাজল রেখা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে হুকুমের আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।      

এছাড়া ওই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

কাজল রেখার মামলার আসামিরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম, তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাছুম চৌধুরী অপু, তারাবো পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ, আওয়ামী লীগ সমর্থক সালাউদ্দিন, নবী হোসেন, রনি, দুলাল, হানিফাসহ ১৭ জন। অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও ২০/২৫ জন।  

কাজল রেখা বেগম অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার রায়ের দিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার মেয়েজামাই যুবলীগকর্মী সুমন সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে সেখানে যান। সেখানে গেলে প্রতিপক্ষ প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে এবং শটগান দিয়ে সুমনকে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সুমন।

রফিক চেয়ারম্যানের হুকুমে ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম গানম্যান দিয়ে পেছন থেকে গুলি করে সুমনকে হত্যা করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন রূপগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন কবির।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাসহ দুটি মামলা হয়েছে।

“হত্যা মামলায় পুলিশ বায়োজিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  অন্য আসামিদেরর গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় অবস্থান নিতে সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থক ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সমর্থক এবং পুলিশের ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী সুমন নিহত হন। পুলিশসহ আহত হয় অন্তত অর্ধশত। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।