বুধবার গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা সাত আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করেন।
বাকি আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার, কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আব্দুল হান্নান, ভাড়া করা কিলার মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা মিয়া ও কসাই সুবল চন্দ।
এদের মধ্যে চন্দন কুমার পলাতক আছেন।
শফিকুল বলেন, আগের ধার্য তারিখ অনুযায়ী সাত আসামিকে বুধবার জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
“এছাড়া চন্দন কুমারকে গ্রেপ্তার ও তার বাড়ি ক্রোকে আদেশ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
শফিকুল বলেন, কাদের খানের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে গত ৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে অস্ত্র আইনের ওই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাদের খানকে বগুড়া থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে ছয় রাউন্ড গুলি ও ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তুল উদ্ধার করা হয়।