গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানিপাড়া এলাকার মো. রিফাত ও মো. মিনহাজ।
জেলার পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রিফাতকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে অপর আসামি মিনহাজকে রাজধানী ঢাকার হাতিরপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
ওই ইউনিয়নের দেওয়ানিপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ২৬ জানুয়ারি রাতে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে ওই ছাত্রী অপহৃত হয়।
তার অভিযোগ, পরে তাকে রিফাত ও সেতু ধর্ষণ করেন। আরও কয়েকজন তার গায় হাত দেয় এবং মোবাইল ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করে ঘটনা প্রকাশ করলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, এটি স্পর্শকাতর অতিঅমানবিক একটি ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা সমাজে কারও কাছে কাম্য নয়।
এ ঘটনার যাতে ন্যায়বিচার হয় সেজন্য উন্নয়ন সংঘের আইআইআরসিসিএল প্রকল্পের আওতায় তাদের আইনি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।