খুলনায় ফাহমিদ হত্যার আসামিরা জামিনে, ‘শঙ্কায়’ স্বজনরা

খুলনার স্কুলছাত্র শেখ ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যার আসামিরা আদালতের জামিন পাওয়ার পর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2018, 01:02 PM
Updated : 4 Feb 2018, 01:02 PM

রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কার কথা জানান নিহত রাজিনের মা খুলনা মেট্রো পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের শিক্ষিকা রেহানা খাতুন।

গত ২০ জানুয়ারি রাতে পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি অনুষ্ঠান চলঅকালে ওই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শেখ ফাহমিদ তানভীর রাজিন (১৩) কয়েকজন তরুণের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়।

পরদিন ফাহমিদের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে নগরীর খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রেহানা খাতুন বলেন, আসামি মিতুল, রয়েল, আপন ও অন্যরা র‌্যাব ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়ও জবানবন্দি দিয়েছে।

“কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের চারদিনের মাথায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া আসামি মো. সান ইসলাম আপন ও সাক্রান সাহেল মিতুল খুলনার শিশু আদালত থেকে জামিন পেয়েছে।

“আসামিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিন পাওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

আসামিরা জামিনে বের হয়ে যাওয়ায় মামলার সাক্ষীরাও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে রেহানার ভাষ্য।

এ মামলাটি ‘চাঞ্চল্যকর’ হিসেবে গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ফাহমিদের মা।

এ সময় ফাহমিদের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী ওলিউর রহমানসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

ফাহমিদের মৃত্যুর দুইদিন পর (২২ জানুয়ারি) তার দাদা শেখ আফছারউদ্দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নাতির শোকে তার মৃত্যু হয় বলে ফাহমিদের স্বজনদের ভাষ্য

ফাহমিদ তৃতীয় শ্রেণি থেকে খুলনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে লেখাপড়া করে আসছিল। ২০ জানুয়ারি রাত ৯টায় কলেজের অভ্যন্তরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কনসার্ট চলাকালে কনসার্ট মঞ্চের কাছে কয়েকজন তরুণের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হিতামপুর গ্রামে তাদের পৈত্রিক বাড়ি। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে।