রোববার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক গোলাম মওলাক সানুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে তার আইনজীবী সরদার রজব আলী
সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সানু নগরীর বসুপাড়া বাঁশতলা মোড়ে রেজওয়ান হোসেন সুমন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর রেজওয়ান হোসেন সুমন দুই বন্ধু ইমদাদুল হক মিলন ও সোহাগ সরদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বসুপাড়া বাঁশতলা মোড় দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় পূর্বশত্রুতার জেরে ১৫/১৬জন তাদের আক্রমণ করে কুপিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সুমন মারা যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন সুমনের মা রাজিয়া আক্তার ডলি বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৮/৯জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাম উল্লেখ করা ১২ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অন্য আসামিরা হলেন, সানুর ভাই মো. ছোটন (২৯), বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকার শহীদ মীরের দুই ছেলে টুলু (২৫) ও জুলু (২৭), বসুপাড়া আন্দির পুকুর এলাকার আলতাব সরদারের ছেলে ইমরান (২৮), দীন মোহাম্মাদের ছেলে জাকারিয়া (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে জাহিদ (৩৫), বসুপাড়া এতিমখানা রোড বাইলেনের কাজী সেলিমের ছেলে জসিম (২৫), বিহারী কলোনীর মোড়ের আকবর বিহারীর ছেলে নুর আলম (৩৫), নাজিরঘাট এলাকার সোবহান শিকদারের ছেলে ফোরকান (৩০), বসুপাড়া মাইছো গলির বারেক গাজীর ছেলে হালিম গাজী (৩০) ও পশ্চিম বানিয়াখামার ক্রস রোডের বাচ্চু মীরের ছেলে সৈকত (২৫)।
আসামিদের মধ্যে সানু বাদে সবাই জামিনে রয়েছেন।