শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন -২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করে সরকার। সংসদে পাশ হরে তা আইনে পরিণত হবে। এই ধারাটি স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বাধা হবে বলে মনে করছেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ।
মানবন্ধন শেষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৩২ ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “৩২ ধারা পাস হলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা মারাত্মকভাবে বাধার সম্মুখীন হবে। দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে দেশ। এর আগে ৫৭ ধারার অপব্যবহারে দেশ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।আমরা ৩২ ধারা দেখতে চাই না।”
সবাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, ওয়ারেশ খান চৌধুরী, মমতাজ আহমেদ বাপী, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, আবুল কাশেম ও আমিনা বিলকিস।
সংসদে এ আইন পাস হলে হ্যাকিং; ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’; রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বা ভয়ভীতি সৃষ্টির জন্য কম্পিউটার বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ডিজিটাল উপায়ে গুপ্তচরবৃত্তির মত অপরাধে ১৪ বছরের কারাদাণ্ডের পাশাপাশি কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
আর ইন্টারনেটে কোনো প্রচার বা প্রকাশের মাধ্যমে ‘ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধে আঘাত’ করার শাস্তি হবে ১০ বছরের জেল, ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।