উপজেলার সেতাবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শীলা আক্তার নামের এই পরীক্ষার্থী। ঘণ্টা দেড়েক পরে অসুস্থতার কথা বললে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে স্বাভাবিকভাবেই শীলার একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয় বলে চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম জানান।
শীলা বোচাগঞ্জ উপজেলার চেঙ্গন গ্রামের নজিম উদ্দিনের মেয়ে। স্থানীয় জেবি স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বছর খানেক আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।
শীলার স্বামী দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার উচিতপুর গ্রামের মামুন মিয়া।
মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিয়ের পর পড়াশোনা করার সময় শীলা হঠাৎ করেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে। প্রসবের সময় ও পরীক্ষার সময় দুটোই একসঙ্গে এসে পড়ায় চিন্তা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়েই চিন্তার শেষ হল।”
মা ও শিশু দুইজনই ভাল আছে বলে তিনি জানান।