বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচন পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণা না করার আদেশ দিয়েছে আদালত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2018, 02:16 PM
Updated : 31 Jan 2018, 02:16 PM

বুধবার বগুড়া জেলা দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমান এ আদেশ দেন।

বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। এর কিছু সময় পর আদালতের আদেশ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা হাতে পান।

তবে তখনও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি বলে মামলার বাদী জিয়া শাহীনের দাবি।

সভাপতি পদপ্রার্থী জিয়া শাহীন, আব্দুল মোত্তালিব মানিক, সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী মহসিন আলী রাজু, মীর্জা সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী লিমন বাসারসহ নয় জন বুধবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

নির্বাচনী তফসিল থেকে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুয়াযী বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা।

আদেশের বরাত দিয়ে জিয়া শাহীন বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রচেষ্টা বা ফলাফল ঘোষণা না করে আদেশের নোর্টিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে প্রেসক্লাব নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক লালু, সদস্য শফিউল আযম কোমল ও মীর সাজ্জাদ আলী সন্তোষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।  

অন্যতম বাদী জিয়া শাহীন বলেন, সোমবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক লালুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একটি প্যানেলকে নিয়ে সভা করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে অপর প্যানেলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার বরাবর নয় প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন বলে জানান জিয়া শাহীন।

“ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার একঘণ্টা পর আদালত থেকে আদেশ গেলে তা গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্টরা।”

তখনও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুল মোত্তালিব মানিক বলেন, এটা একটা প্রহসনের নির্বাচন। আদালতের নোর্টিশ আমলে নেওয়া উচিত ছিল।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাথী লিমন বাসার বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে এবং ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছিল, আমরা একারণেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং আদালত পর্যন্ত গিয়েছি। নতুন তফসিল দিয়ে ভুয়া ভোটার বাতিল করে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”

সহ-সভাপতি প্রার্থী মীর্জা সেলিম রেজা ও মহসিন আলী রাজু বলেন, পরিচালনা কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকট। তাই তারা ভোট বর্জন করে আদালতের আশ্রয় নেন।

জিয়া শাহীনের ভাষ্য, বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে তিনি আদালতের আদেশ নিয়ে পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে যান।

“ওই সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক লালু বলেন-‘আমি কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে নোর্টিশ নেব না। ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে গেছে। এরপর আর কোনো কথা থাকতে পারে না। আদালত থেকে আমার কাছে নোর্টিশ এলে তা গ্রহণ করব।”

আদালতের নোর্টিশ গ্রহণের পরও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনাসহ নির্বাচন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন জিয়া শাহীন।

বাদীর আইনজীবী মো. আফতাব হোসেন বলেন, “আদালতের এই আদেশের পর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা উচিত হবে না।”