মঙ্গলবার সকালে বিশখালি নদীর মশাবুনিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কাঁঠালিয়া থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান।
নিখোঁজরা হলেন- ট্রলার চালক ভোলার লালমোহনের হাসান এবং তার সহকারী ঝালকাঠির রাজাপুরের বাদুর তলা গ্রামের পান্নু।
ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি।
ওসি শওকত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোবাবার সন্ধ্যায় বরিশাল ঘাট থেকে এক হাজার ৫৬০ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে ট্রলারটি বরগুনার কাকচিড়া রওনা করে। লঞ্চটিতে নিখোঁজরাসহ মোট তিনজন ছিলেন।
“ভোর ৫টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে বিশখালী নদীর কাঁঠালিয়া উপজেলার মশাবুনিয়া গ্রামের সৈলার চরে ট্রলারটি নোঙর করে রাখা হয়।
“এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি পূবালী-১ নামের একটি লঞ্চ থামানো ট্রলারর ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।”
এ সময় ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে যান নিখোঁজদের সঙ্গে থাকা মাওলা (২২)। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের বাবুল হাওলাদের ছেলে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে মাছের জাল পেঁচিয়ে রয়েছে। তাই ট্রলারের ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভর হয়নি। সেখানে নিখোঁজরা আছেন কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।