গ্রেপ্তার রায়হান কবির সোহাগের (২৮) বাড়ি বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকায়।
সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শরফ্দ্দীন সাংবাদিকদের জানান,আগের রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত রোকসানা আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের আরামবাগ এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
পরদিন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন,“তদন্ত চলাকালীল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন।”
সোহাগের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন পাখি রোকসানার বড় বোন আরমিয়ার বান্ধবী। সেই সূত্র ধরে রোকসানাদের বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল।
রোকসানাকে অপহরণ করে বন্দর উপজেলার টি হোসেন রোডের বাসায় নিয়ে যায় সে। পরদিন রোকসানার পরিবারের কাছে মোবাইলে ফোন করে ছয় হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এরপর রোকসানাকে ধর্ষণ করে তার হাত-বা বেঁধে ফেলে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সোহাগ। পরে লাশ বস্তায় ভরে কাইরটেক চর এলাকায় ফেলে আসে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
নিহতের মা কারিনা আক্তার বলেন, “আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি আসামির ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই।”