সোমবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার ছেলে মাহফুজুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তারা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া লাশ গুম করার অপরাধে আসামিদের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৯ মে বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের চিকিৎসক নাছির উদ্দিনের ছেলে মাকসুদুল ইসলাম তুহিনকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তুহিনের বাবা আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনদিন পর তুহিনের চাচাতো ভাই মাহফুজুলকে নরসিংদী থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ তাদের বাড়ির একটি ড্রাম থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার ও তার বাবা বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে।
পরে মাহফুজুল আদালতে স্বীকারোক্তি দেন যে তার বাবাকে মারধরের প্রতিশোধ নিতে আমভর্তা খাওয়ানোর প্রলোভন সে তুহিনকে অপহরণ করে। পরে গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ একটি ড্রামের ভেতর ভরে রাখে।
তুহিনের বাবা নাছির উদ্দিন বলেন,“আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।”