উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুকে রোববার বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংগঠনের নেতারা জানান।
কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়া গ্রামে শুক্রবার রাতে একটি ইসলামী ধর্মসভা থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। একই সময় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকেও অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর রোববার তিন সদস্যের মেডিকেল টিম তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
এ ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মা রোববার জামালপুর সদর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, দেওয়ানীপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার রাত থেকে দুইদিনব্যাপী ইসলামী ধর্মসভা শুরু হয়। ধর্মসভার মহিলা প্যান্ডেলের গেট থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের দুজনকে কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতু (২৩) এবং তার সহযোগী মো. রিফাত (২২), মো. বাবু (২৪), মো. মিনহাজ (২৩) ও মো. শাকিলসহ (২৩) সাত-আট জনের একটি দল অপহরণ করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এলাকাবাসী শুক্রবার রাতেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ধর্মসভাস্থল থেকে দুইশ মিটার দূরে একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে। তাকে মারধর করা হয়েছে।
আর এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরদিন (শনিবার) স্থানীয় আবিরার চরের একটি খোলা মাঠ থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বলে এজাহারে বলা হয়।
মেয়েটির বরাত দিয়ে মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাকে ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করা হয়েছে। ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও প্রকাশ এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তারা।
আসামি ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুর বাবা আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।
কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক নুরলের দাবি, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়।
জামালপুরের সিভিল সার্জন গৌতম রায় বলেন, “এসএসসি পরীক্ষার্থী একটি মেয়েকে ওনার গার্জিয়ানরা নিয়ে আসেন এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। যথারীতি দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার আল্লামা ইকবাল ওনাকে ভর্তি করান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।”
মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ফাখরিয়া আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যর মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
জামালপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহম্মেদ বলেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. ছাব্বির হোসেন আকন্দ সেতুকে রোববার যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।