এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার রায় জানান, রোববার আদালতে হাজির করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাতে সহিলপুর গ্রামে গণেশ আচার্যের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সহিলপুর গ্রামের মো. শামছুদ্দিন, সিদ্দিক মিয়া ও সোহাগ মিয়া।
মামলার বরাত দিয়ে পরিদর্শক উত্তম জানান, গণেশ আচার্যের কাছে দাদনের ৪০ হাজার টাকা পান একই গ্রামের শামছুদ্দিন ও সিদ্দিক। কিন্তু অতি দরিদ্র গণেশ আচার্য ইতিমধ্যে আসলের ১০ হাজার টাকা এবং সুদ বাবদ ৫০/৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও আসলের আরও ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না।
“এ কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই গ্রামের শামছু, সিদ্দিক, ইসলাম ও সোহাগসহ তাদের লোকজন গণেশ আচার্য এবং তার বড় ভাই প্রাণেশ আচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়।”
উত্তম বলেন, হামলাকারীরা গণেশ আচার্য, তার স্ত্রী রূপা রানী আচার্য, গণেশের বৃদ্ধ বাবা জীবন আচার্য, মা নিয়তী রানী আচার্যসহ বাড়ির অন্যান্য লোকদের মারপিট করে এবং তাদের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
“এতে বাধা দিলে এক পর্যায়ে তারা প্রাণেশ আচার্যের বাড়িতে অবস্থিত মন্দিরের সরস্বতী ও লোকনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাংচুর করে এবং পরিবার দুটিকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
পরিদর্শক উত্তম জানান, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ শনিবার রাতে তিনজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে শনিবার রাতে প্রাণেশ আচার্য বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নেত্রকোণা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।