সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা মামলাটি করা হয়।
গত ১৬ জানুয়ারি ফুটপাতে হকার বসানো নিয়ে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দা নিয়াজুল ইসলাম খানকে পিস্তল হাতে দেখা যায়; ভিডিওচিত্রে তাকে মার খেতেও দেখা যায়। পুলিশ তাকে খুঁজে না পেলেও পরদিনই থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে তিনি আইভীর ১৭ সমর্থককে দায়ী করেন।
তার অভিযোগটি পুলিশ জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করে।
এর সাত দিন পর সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা এজিএম সাত্তার নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও হাজারখানেক মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
পুলিশ সেটাও জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইভী ও নগর আওয়ামী লীগের নেতা শামীমের দ্বন্দ্ব পুরনো।
আইভী শহর থেকে হকার উচ্ছেদ করতে চান। শামীম হকারদের পক্ষ নিয়ে মেয়রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে এই দ্বন্দ্ব নতুন করে সামনে আসে।
সংঘর্ষের পর আইভী ও শামীম পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
আইভী দাবি করেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সেদিন হামলা চালানো হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিলেন শামীম ওসমান।
অন্যদিকে শামীমের দাবি, সংঘর্ষ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হকারদের; আইভীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই।
অস্ত্র হাতে নিয়াজুলের ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে শামীম বলেন, সেদিন নিয়াজুলের ওপর হামলা হলে আত্মরক্ষায় নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল বের করেছিলেন তিনি, তবে কোনো গুলি ছোড়েননি।
এ বিষয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক সে সময় বলেন, অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “অস্ত্রধারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড়ব না।”