রাবিতে ৬১ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে সংবর্ধনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের অবসরপ্রাপ্ত ৬১ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2018, 03:37 PM
Updated : 20 Jan 2018, 03:37 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শনিবার ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, “মানুষকে সভ্য করে তোলে শিক্ষা। আর আপনারা দীর্ঘ সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে আজ আমরা আপনাদের সংবর্ধনা জানাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বর্তমান শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সন্তানদের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই দায়িত্বকে কখনোই অবহেলা করবেন না। নিজের সন্তানের মত শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে না পারলে শিক্ষকতায় আসার দরকার নেই।”

শহীদ শামসুজ্জোহাকে স্মরণ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “ড. জোহা আমার সাবসিডিয়ারি শিক্ষক ছিলেন। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সেই উত্তাল দিনে তিনি যেদিন শহীদ হলেন সেদিন আমিও অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম।

“সম্ভাব্য একটা বিপর্যয় জেনে আমাদের শিক্ষকরা নিবৃত্ত করেছিলেন। কিন্তু তারা রাজপথে থেকে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ড. জোহা ওই দিন নিহত হন। সেদিন আমরা অনেক কেঁদেছিলাম। কারণ ড. জোহা আমাদের বাঁচানোর জন্যই এবং আমাদের ভালোবেসেই সেদিন আত্মত্যাগ করেছিলেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ওপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আর এ কাজটি হতে পারে দক্ষ ও ভাল শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে। যদি ভাল শিক্ষক না নিয়োগ দেওয়া যায়, তবে তার প্রভাব ৪০টি বছর থেকে যায়। আর এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দিনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।

“খারাপ, অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যেমন কমে, তেমনি শিক্ষক পদটিও অসম্মানিত হবে। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।”

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জালাল উদ্দিন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এম এ রাজ্জাক।

তারা তাদের ক্যাম্পাস জীবনের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। শিক্ষক সমিতির এ আয়োজনের জন্য তারা তাদের ধন্যবাদ দেন।