শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সদুল্ল্যাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দিলরুবা খানম (৪৯) এবং তার স্বামী ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন (৫৪)।
তাদেরকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিলরুবা সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় পোলেরহাট বাজারে কাজ সেরে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন।
“বাড়ির কাছে সদুল্ল্যাপুর গ্রামের সুজনের চায়ের দোকানের কাছে পৌঁছলে আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ খাদিজা বেগম তার স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে আমাদের পথ রোধ করে। পরে আমার স্বামীর চোখের উপর টর্চ লাইট জ্বেলে রাখে। তিনি লাইট নেভাতে বললে তারা আমাদের গালিগালাজ শুরু করে।
“এক পর্যায়ে তারা লোহার রড় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।”
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে তিনি জানান।
গত নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে প্রতিপক্ষ খাদিজা তার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারই জেরে এই হামলা হয়েছে বলে তার দাবি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, দিলরুবা খানম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারলো অস্ত্র ও লোহার রডের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনই আশঙ্কামুক্ত।
ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, “দিলরুবা খানম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের উপর হামলা হয়েছে। হামলা ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি; সেই সাথে ওই হামলায় যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
এ ব্যাপারে কথা বলতে খাদিজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাবেক সেনা বাহিনীর সদস্য শেখ দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী ইউপি সদস্য দিলরুবা খানমের উপর হামলার সংবাদ পেয়ে রাতেই দলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি জানিয়েছেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, হামলায় জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় এখনও তাদের ধরা যায়নি। ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। থানায় এখনও মামলা হয়নি।