তিনি রংপুর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গঙ্গচড়া থানার এসআই মিস্টার আলী জানান, বৃহস্পতিবার রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন তিনি। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ফজলার রহমান ঠাকুরপাড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
গত ১১ দিন আগে তাকে ১২ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ঠাকুরপাড়ার পাশের গ্রাম মমিনপুরে ফজলার রহমানের বাড়ি। হামলায় পাঁচ ইন্ধনদাতার মধ্যে ফজলার রহমান একজন বলে এসআই মিস্টারের ভাষ্য।
গত ১০ নভেম্বর ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েক হাজার মানুষ ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালিয়ে নয়টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির মালপত্র লুট করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক হামলাকারীর মৃত্যু ও সাত পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি ও গঙ্গাচড়া থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ। দুটি মামলায় ১৫৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন প্রকৌশলী ফজলার। গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার শ্যামলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।