নীলফামারীর মাধব রায় হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ জেএমবি গ্রেপ্তার

নীলফামারীতে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাকে জলঢাকার স্কুল শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলছে পুলিশ।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2018, 01:53 PM
Updated : 17 Jan 2018, 02:53 PM

নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নীলফামারী শহরের আনন্দবাবুর পুল এলাকা থেকে তৈয়ব আলীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে জেলা কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের সদস্যরা। বুধবার বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার তৈয়ব আলী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব গোলমুন্ডা তিল্লাইপাড়ার মৃত আছানতুল্লাহ আলীর ছেলে।

এছাড়া তৈয়ব আলী রংপুরের জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুদ রানা মাসুদের শ্বশুর বলে এসপি জাকির জানান।

পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান জাকির হোসেন খান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তৈয়ব আলী নিজেকে জেএমবির সদস্য এবং সংগঠনের চাঁদা সংগ্রহকারী বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া সে জলঢাকার স্কুল শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।”

তার বাড়িতে জেএমবি সদস্যরা এসে জেএমবির মিটিং করতেন। মাধব রায় হত্যার আগে ও পরে জেএমবি সদস্যরা তার বাড়িতেই এ সংক্রান্ত একাধিক সভা করেন বলে জাকিরের ভাষ্য।

নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, জলঢাকায় ২০১৫ সালের ৯ অগাস্ট সকাল ১০টার দিকে গোলমুন্ডা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায়কে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ অগাস্ট রাতে তার মৃত্যু হয়।   

বাবুল জানান, এ ঘটনায় ওই বছরের ১২ অগাস্ট মাধব চন্দ্র রায়ের ছোটভাই রতন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ছয় জনকে আসামি করে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটি সিআইডি পুলিশে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।

বাবুল আকতার বলেন, ওই মামলায় উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিল্লাই গ্রামের বজলুর রহমান (৩০) ও একই ইউনিয়নের ঘাটেরপাড়ের তরিকুল ইসলাম (২৭) নামের দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“পরে তারা আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মাধব মাস্টারকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা এবং এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তৈয়ব আলীর নাম প্রকাশ করেন।”

সিআইডি নীলফামারীর পরিদর্শক মাহাবুব আলম বলেন, তৈয়ব আলীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।