কক্সবাজারে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে আটক ২

রেললাইন প্রকল্পের জন্য সরকারের অধিগ্রহণ করা জমির টাকা ‘আত্মসাৎ করতে’ কয়েক হাজার জাল দলিল তৈরির অভিযোগে কক্সবাজারে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2018, 10:59 AM
Updated : 16 Jan 2018, 10:59 AM

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান, সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও মাইজপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়।

আটকরা হলেন- পিএমখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার এন বি মকবুল আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৭) এবং মাইজপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নুরুল আবছার (২৮)।

এ সময় রেললাইন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির কয়েক হাজার জাল খতিয়ান, দলিল, আমমোক্তারনামা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশ সনদ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।

ওসি রণজিত বলেন, পিএমখালীতে বাস্তবায়নাধীন দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমির জাল দলিল-দস্তাবেজ একটি চক্র সৃজন করছে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তৌহিদুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে রাখেন।

“পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এক বস্তা জাল দলিল-দস্তাবেজসহ তৌহিদুল ইসলামকে আটক করে।”

ওসি বলেন, তৌহিদুলের স্বীকারোক্তি মতে মঙ্গলবার দুপুরে মাইজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মো. নুরুল আবছারকে আটক করা হয়।

“এ সময় তার বাড়ি থেকেও বেশকিছু জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।”

ওসি রণজিত আরও বলেন, “আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জালিয়াত চক্রের আরও কয়েক সদস্যের কাছে জাল দলিল-দস্তাবেজ থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিএমখালীর আব্দুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এক বস্তা এবং কক্সবাজার সদরের বাস টার্মিনাল এলাকার সুমন ফার্মেসী থেকে আরেক বস্তা জাল কাগজপত্র ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।”

এখানে অভিযানের সময় সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি রণজিত।

ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে নানা সূত্রে খবর পাই একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র বাস্তবায়ননাধীন দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমির টাকা আত্মসাতের উদ্দ্যেশ্যে জাল দলিল-দস্তাবেজ সৃজন করছে। এরপর নানাভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের শনাক্ত করি।”

টিপু সুলতান বলেন, সোমবার গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও লোকজনের সহায়তায় তৌহিদুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে রেখে পুলিশকে খবর দেন।

টিপু বলেন, এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে আইনজীবী, দালাল ও ভূমি কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ১৫ জনের একটি দল জড়িত রয়েছে।