সোমবার থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানির ডিপো খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে সরবাহ।
খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান জানান, বাম্পার লাগানো থাকায় রোববার বিকালে খালিশপুর থেকে একটি লরি আটক করে পুলিশ। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান যানবাহন আইনে মামলা দিলে পুলিশ লরিটি থানায় নিয়ে আসে।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি নূর ইসলাম জানান, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে। ফলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশের হয়রানি বন্ধ না হলে তাদের ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে প্রায় ৪০০ ট্যাংকলরি খালিশপুর এলাকায় অলস বসে আছে।
যমুনা কোম্পানির খুলনা ডিপো সুপার ভাইজার নজরুল ইসলাম বলেন, ডিপো খোলা রয়েছে। তবে ট্যাংকলরি তেল নিতে না আসায় সরবারহ বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের সমর্থনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। ইউনিয়নের সভাপতি নূর ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ট্যাংকলরি সমিতির সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, শ্রমিক নেতা আবদুর রহিম বক্স দুদু, আলী আজম প্রমুখ।