শনিবার দুপুরে হারাগাছ পৌর এলাকার হকবাজারে বানিয়াটারী এলাকার কামার ফরিদুল ইসলামের রান্নার ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে কাউনিয়া থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (৩৫) ওই এলাকার মফেল উদ্দিনের ছেলে।
এঘটনায় ফরিদুল ও তার স্ত্রী মিনি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিরাজুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন ফরিদুল। সে টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। এনিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
“গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ফরিদুলের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি সিরাজুল। এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিরাজুলের ভাই সেরাফুল।”
শুক্রবার বিকালে ফরিদুল ও তার স্ত্রী মিনিকে আটক করা হয়। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার দুপুরে তাদের রান্না ঘরের মেঝে খুঁড়ে সিরাজুলের লাশ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, “সিরাজুলকে মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে মুখ বেঁধে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ রান্না ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ফরিদুল।”
এ ঘটনায় সিরাজুলের স্ত্রী মবিনা খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।