দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এর আগে রাত আড়াইটার দিকে কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। হঠাৎ কুয়াশা শুরু হওয়ায় চলতে না পেরে নদীতে চারটি ফেরি আটকা পড়ে। আর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকা পড়ে পাঁচ শতাধিক গাড়ি।
একই সময় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথেও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শাহ নেওয়াজ খালেদ।
এখানেও রাত আড়াইটার দিকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পদ্মা নদী। এতে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় একটু দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, মাঝ নদীতে সাতটি ফেরি আটকা পড়েছিল। আর দুই ঘাটে আটকা পড়েছিল তিন শতাধিক গাড়ি।
একই কারণে প্রায় একই সময় থেকে মেঘনার চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ।
এতে দুই ঘাটে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় কুয়াশা কেটে যাওয়ায় এখানেও আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে পদ্মা পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ পথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি। শীত মৌসুমে এসব নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই পারাপার বিঘ্নিত হয়।