ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ইজতেমার সকল কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে জর্ডানের মাওলানা শেখ ওমর খতিবের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের ইজতেমা। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
এর আগে কয়েক বছর ধরে সাদ কান্ধলভি এই বয়ান দিতেন।
ভারতের ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ১৯২০-এর দশকে তাবলিগ জামাত নামে সংস্কারবাদি আন্দোলন সূচনা করেন। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধের প্রচার। বিতর্ক থেকে দূরে রাখতে এ সংগঠনে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় না। এ সংঘের মূল কেন্দ্র (মারকাজ) দিল্লিতে।
ইলিয়াস কান্ধলভির মৃত্যুর পর তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ নেতৃত্বে আসেন। সম্প্রতি ইউসুফের ছেলে সাদ নেতৃত্বে আসার পর ইমামতি বা কোরআন শিখিয়ে বেতন নেওয়ার সমালোচনা করেন। এ কারণে তিনি একটি পক্ষের বিরোধিতার মুখে পড়েন।
মুরব্বি গিয়াস বলেন, বিগত কয়েক বছরের মত এবারও দুই পর্বে ইজতেমা হবে। প্রথম পর্ব রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব।
“ইজতেমায় মুসলিম জাতির শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি ও ঐক্য কামনা করে আখেরি মোনাজাত করা হবে।”
কয়েক বছর ধরে সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তিনি না থাকায় আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি জানান।