নালিতাবাড়ী থানার পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নির্যাতন করে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ঘটনার তিন মাস পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার ওসি একেএম ফছিহুর রহমান ও দুই এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2018, 01:55 PM
Updated : 11 Jan 2018, 01:55 PM

নিহত বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকারের (২০) ভাই নিত্যানন্দ সরকার সুব্রত বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-২ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু জানান, বিচারক হুমায়ুন কবীর  নালিশী মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে নজরুল জানান। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন নালিতাবাড়ী থানার দুই এএসআই আতিয়ার রহমান ও সুমন মিয়া, সুদীপ ডালু (৩৫), আবুল কালাম শামছুদ্দিন চঞ্চল (৪০), রফিকুল ইসলাম (৪০), সুধেন ওরফে লেংটি সুধেন (৫০), প্রদীপ সূত্রধর (৫৫), বিকাশ সূত্রধর (৪৫), কৃষ্ণ মন্ডল (৫০), অরুণ সরকার (৫২) ও জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এএসআই আতিয়ার রহমান ও সুমন মিয়া ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭/৮টার দিকে বিশ্বজিত সরকারকে উপজেলা পরিষদের সামনের চায়ের দোকান থেকে তুলে থানায় নিয়ে যান।  

এরপর থানায় আটক রেখে গাঁজা রাখার অভিযোগ তুলে অপর আসামিদের সহায়তায় শারিরিক নির্যাতনে হত্যার পর আলামত নষ্ট করারও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। 

আইনজীবী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বজিতের মৃত্যুর পর এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। জনতার বিক্ষেভের মুখে বিশ্বজিতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত করা হয়। পরদিন প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে পুলিশের কড়া প্রহরায় নালিতাবাড়ী শ্মশানে দাহ করা হয়।

মৃত বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার পৌর শহরের মৃত বিধান চন্দ্র সরকারের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন তিনি।