সদর থানার এসআই মানিক বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিন জানান।
এদিকে, বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে জেলায় ইউপিডিএফের ডাকা দ্বিতীয় দিনের সড়ক অবরোধ পালিত হয়।
গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি সদরে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হন ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পিকেটিং করার সময় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পিকেটাররা রাস্তায় টায়ার জ্বালালে পুলিশ তা সরিয়ে দেয়।
এছাড়া ধর্মপুর এলাকায় দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে এবং মৎস্য ভবনের সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালায় পিকেটাররা।
তাছাড়া বেলা পৌনে ২টার দিকে আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় বিজিবির একটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। গাড়িতে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান ছিলেন।
হামলায় গাড়ির ডান পাশের একটি কাচ ভেঙে গেলেও কেউ আহত হয়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা এম এম সালাহউদ্দিন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্য মোতায়ন রয়েছে।
“সাজেকগামী পর্যটকদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে খাগড়াছড়ির সীমানা অতিক্রম করিয়ে দেয় এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলোও একইভাবে আনা হয়।”
হত্যার কারণ ও খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন।
শুক্রবার দুপুরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মিঠুনের মরদেহ স্বনির্ভর এলাকার অফিসে নিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে শনিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।
শনিবার অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার অভিযোগ তুলে ফের রোববার অবরোধ ডাকে তারা।