‘প্রাইভেট অপারেটর পারলে আমরা পারব না কেন?’

প্রাইভেট অপারেটরগুলো ব্যবসা করতে পারলে বিটিসিএলও পারবে বলে মনে করেন নবনিযুক্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “প্রাইভেট অপারেটরগুলো আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি ও ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। তারা পারলে আমরা পারব না কেন?

“আমার বিশ্বাস কোথাও কোনো ভুল ছিল কিংবা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আমার বিশ্বাস ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আমরাও ব্যবসা করতে পারব।”

নতুন মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একটি ডুবন্ত নৌকাকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব আমার ওপর দিয়েছেন। আমি সফল হতে পারব এমন আস্থা ও বিশ্বাস থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। তার সম্মান রাখার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে কাজ করে যাব।”

মন্ত্রণালয়ে প্রথম সাতদিন ছাত্র থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারপর আমার কাজ শুরু করব। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আশা করি আমি সফল হব।

“আমি সফল হলে প্রধানমন্ত্রীও সফল হবেন।”

২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ ডাক বিভাগ ও বিটিসিএল-এর পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।