কেরামত আলী প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় রাজবাড়ীতে আনন্দ

রাজবাড়ীর সন্তান সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী প্রতিমন্ত্রী হওয়ার খবরে জেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন তার অনুসারীরা।

রাজবাড়ী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2018, 10:47 AM
Updated : 3 Jan 2018, 10:55 AM

মঙ্গলবার নবনিযুক্ত তিন মন্ত্রী এবং এক প্রতিমন্ত্রীর একজন হলেন কাজী কেরামত আলী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কেরামত আলী পেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের দায়িত্ব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে খবরটি প্রচার হওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জড়ো হন দলের নেতাকর্মীরা। শপথ গ্রহণের পরই সন্ধ্যায় বের হয় আনন্দ মিছিল।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন শহরে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে। এ সময় বাজনা বাজিয়ে, একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে এবং আতশবাজি ফাটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।  

বুধবার সকালেও রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, শেরে বাংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীরা বাদ্য বাজনা বাজিয়ে, রং মেখে শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে তারা মিষ্টিমুখ করেন।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হেদায়েত আলী সোহরাব ও সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার পাল বলেন, জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য রাজবাড়ী জেলাবাসী দীর্ঘদিন একজন মন্ত্রী প্রত্যাশা করছিল।

হেদায়েত আলী সোহরাব বলেন, কাজী কেরামত আলী মন্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজবাড়ীবাসীর দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচল।

কাজী কেরামত আলী

চারবারের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও গোয়ালন্দ সাবেক মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হেদায়েত হোসেনের জেষ্ঠ্যপুত্র। কাজী হেদায়েত হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় প্রকাশ্যভাবে হত্যা করা হয় কাজী হেদায়েত হোসেনকে। এরপর কাজী কেরামত আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।

১৯৯১ সালে ৩৩ বছর বয়সে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এখনও ওই পদেই আছেন।

১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজবাড়ী-১ আসন শূন্য হলে একই বছর উপ নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন কেরামত। এরপর ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।