দুস্থদের মাংস ‘চেয়ারম্যানের ঘরে’

বগুড়ার ধুনটে সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংস দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2017, 04:17 PM
Updated : 29 Dec 2017, 04:17 PM

ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দুম্বার মাংস ভাগাভাগি করেছেন বলে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের অভিযোগ ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আট কেজি থেকে ১৪ কেজি ওজনের মোট ১২৬ প্যাকেট দুম্বার মাংস সৌদি আরব থেকে ধুনটে এসেছিল।

“বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের তা দেওয়া হয়, যাতে তারা মাংসগুলো এতিমখানা ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেন।”

উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল উলুম ইসলামি কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাশরুর আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ইউনিয়নে দুটি হাফেজখানা। আমার মাদ্রাসা বা অপর এতিমখানায় দুম্বার মাংস দেওয়া হয়নি।”

গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য জয়েদা বেগম বলেন, “গভীর রাতে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ওরফে দুলা হুজুর ও আরেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই আমাকে এসে দেড় কেজি মাংস দেন। আমি রান্না করে ছেলেদের নিয়ে খেয়েছি। আমার ফুফাত ভাইকেও দিয়েছি।”

এ নিয়ে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করেও ইউপি সদস্য সাইফুল, ইউএনও রাজিয়া সুলতানাকে পাওয়া যায়নি।

আর এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি আরেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই।

ধুনট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল মিয়া বলেন, “আমার বরাদ্দ পাওয়া তিন কার্টন এতিমখানা ও হেফজখানায় দিয়েছি। বাকিগুলো ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশরা নিয়েছেন।”

তবে গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। 

মতুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, “বগুড়ার বাইরে থাকায় মাংসগুলো এক মেম্বারকে দিয়ে আমি আনিয়েছিলাম। দুস্থরা মাংস পায়নি বলে আমিও শুনেছি।”

রোববার বগুড়ায় ফিরে এ নিয়ে খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।