এ ব্যাপারে উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তরমুজ চাষিরা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের গোপালগঞ্জ শাখার ম্যানেজার শহীদুল্লাহ হারেজের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়- কলাবাড়ি ইউনিয়নে সরকারের নিবন্ধিত তিনটি তরমুজ চাষি কৃষক কল্যাণ সমবায় সমিতি রয়েছে।
তরমুজ চাষের জন্য গোপালগঞ্জ সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ওই সমিতির সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়।
কিন্তু ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার শহীদুল্লাহ হারেজ ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা, স্ট্যাম্প খরচের কথা বলে প্রতি তরমুজ চাষির কাজ থেকে ৫/৬ হাজার টাকা করে আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
কলাবাড়ী ইউনিয়নের বড়ুয়া গ্রামের তরমুজ চাষি নারায়ণ বাড়ৈ বলেন, “আমাদের এলাকায় ৫৩ জন তরমুজ চাষিকে নিয়ে তিনটি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে। সমিতির সদস্যরা প্রতিবছর গোপালগঞ্জ সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেন।
“কিন্তু ব্যাংক থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিতে আমাদেরকে ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদুল্লাহ হারেজকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।”
কলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, তারা ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজ চাষ হয়। গত কয়েক বছর ধরে এলাকার তরমুজ চাষিরা সমবায় সমিতি গঠন করে গোপালগঞ্জ সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে আসছেন।
“আমি শুনেছি ব্যাংক থেকে ঋণ বিতরণের সময় চাষি প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। যারা ঘুষ দেয় না ম্যানেজার তাদেরকে ঋণ দেন না।”
অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে শহীদুল্লাহ হারেজ বলেন, “সরকারের সব নিয়ম মেনেই ঋণ দেওয়া হয়। এখানে ঘুষ গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।”