বাগেরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি  

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির তিন দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

অলীপ ঘটক বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2017, 03:18 PM
Updated : 23 Dec 2017, 03:18 PM

‘এসো মিলি ছন্দে আনন্দে প্রাণের মেলায়’ স্লোগানে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ফোরাম।

শনিবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা, ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে শনিবার সকালে তিন দিনের এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন।

পরে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

এ সময় নানা বাদ্যযন্ত্রসহ নানা সাজে সেজে প্রায় চার হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা নিজেদের মধ্যে আবিরের রং চিটিয়ে আনন্দ করেন। যোগ দেন স্মৃতির আড্ডায়।

তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় শুক্রবার বিকালে। ওইদিন কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে নিবন্ধিত হয়ে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন। এরপর তারা স্মৃতিচারণা ও আড্ডায় মেতে ওঠেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপ বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন।

প্রাক্তন ছাত্রী ফোরামের আহবায়ক পারভীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন দিনের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শনিবার ছিল কেক কাটা, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

রোববার তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানসূচি হলো স্মৃতিচারণ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

অনুষ্ঠানে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের অধ্যাপক বিষ্ণুপ্রিয়া সাহা বলেন, “একশ বছরের এই বিদ্যালয়ের নবীন প্রবীণ যারা আছেন তারা সকলে আজ একসাথে মিলিত হয়েছি। তাই আমাদের মধ্যে একটা আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে যা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।”

প্রাক্তন শিক্ষার্থী নারীনেত্রী শিল্পী সমাদ্দার বলেন, “১৯৮২ সালে এই স্কুলে পড়েছি। প্রায় ৩৬ বছর পরে আবার এই স্কুলে আসতে পারব ভাবিনি। ৩৬ বছরের পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দে দিশেহারা আমরা।”

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যাপীঠ।