শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অভিভাব্করা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক মো. অমিন উল আহসান।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অভিভাব্কদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেলিম হোসেন নামে একজন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর খুলনা জিলা ও সরকারি ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাতেই ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় ২১ ডিসেম্বর ভোরে।
“এতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ফরম বিতরণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই ফলাফল স্থগিত করে খুলনা জেলা প্রশাসক। শনিবার সকালে পুনরায় ফল করা হয়।”
দ্বিতীয়বারের ওই ফলাফলে জিলা স্কুলের দিবা বিভাগের ১২০ জনের মধ্যে ৫৭ ছাত্র ও ইকবাল নগর বিদ্যালয়ের ৭৬ জন ছাত্রী বাদ পড়ে বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সেলিম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি ও ২৬ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে মামলা করব।”
এ নিয়ে জেলা প্রশাসক আহসান বলেন, “কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রশ্নই ওঠে না। ট্যাবুলেশন শিট থেকে ফলাফল কম্পিউটারে আপলোড করার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে ফলাফল ভুল হয়ে যায়। যে কারণে তা স্থগিত করা হয়।”
পরে সঠিকভাবে রেজাল্ট প্রস্তুত করে তা শনিবার সকালে প্রকাশ করা হয় বলে জানান তিনি।