কাশিয়ানী ইউএনও এএসএম মাঈন উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে।
“কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) আল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কথা হয়।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাশিয়ানী ইউএনও এএসএম মাঈন উদ্দিন জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গির্জায় সরকারি অনুদানের চার মেট্রিক টন আতপ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, গির্জার পক্ষে কাশিয়ানী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চালের ডিও সংগ্রহ করা হয়। গির্জার এসব ডিও উপজেলার রামদিয়ার চাল ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম কিনে নেন।
“সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য গুদামে আতপ চাল থাকলে আগে আতপ চাল সরবরাহ করতে হয়।
“কিন্ত আতপের চেয়ে সিদ্ধ চালের দাম বেশি হওয়ায় নূরুল ইসলাম খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃহস্পতিবার ভোরে ট্রাকে করে আতপের পরিবর্তে সিদ্ধ চাল তুলে নেন।”
ইউএনও জানান, স্থানীয়রা চালের ট্রাকটি আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ চাল ভরতি ট্রাকটি থানায় নিয়ে যায়।
“খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আতপ চালের পরিবর্তে সিদ্ধ চাল সরবরাহ করে লাভবান হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।”
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. খলিলুর রহমান বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন এখনও আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। ভাটিয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ গুদামের দারোয়ানকে দিয়ে এ চাল সরবহারহ করেছেন এবং দারোয়ান ভুলক্রমে আতপের পরিবর্তে সিদ্ধ চাল সরবরাহ করেছেন; এমন তথ্য আমাকে জানানো হয়েছে।”