বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, শুক্রবার পুঁটিখালি ইউনিয়নের সোনাখালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতরা হয়েছেন উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের তোরাব শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৪৮) ও একই গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে পলাশ শেখ (৩২)।
গ্রেপ্তাররা হলেন সোনাখালী গ্রামের শহিদুল খান (৪৫), মজিবুর খান (৬০), ওহাব খান (৬৫), বারেক খান (৬২), ইব্রাহীম খান (২৭) হানিফ শেখ (৩৮) ও নুর ইসলাম (৪৮)।
আহতদের দুই জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার জনকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এসপি পংকজ রায় বলেন, বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের হামলায় দুজন নিহত ও অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন।
“আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক পক্ষের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।”
স্থানীয় পুঁটিখালি ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোনাখালি গ্রামের আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদুল খানের এক বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি পংকজ রায় বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিতে রহিম খান আমন চাষ করেন। প্রতিপক্ষ শহীদুল খান ১২-১৪ জন লোক নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে যান। এ সময় রহিমের পাশের গ্রামের আত্মীয়-স্বজন এসে তাদের বাধা দিলে শহীদুল কানের লোকজন হামলা চালায়।
হামলায় আহত আটজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হতাহত সবাই রহিম খানের পক্ষের লোকজন বলে জানান এসপি পংকজ।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ইব্রাহিম ও পলাশকে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
“তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি জানান, আহত হেমায়েত খান, জাহিদ শেখ, শিউলী ও নাজমাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং কবির ও মজিবর নামে দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পুঁটিখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজান মিয়া শামীম বলেন, “দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল। এ অবস্থায় কেন একটি পক্ষ বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে গেল তা বুঝতে পারছি না। কারও উস্কানি থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখবে।”