সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রাম থেকে বুধবার গভীর রাতে তাদের আটক করা হয় বলে বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন এক সাংবাদ সম্মেলনে কথা জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন ওই এলাকার আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে আকরাম শেখ (৩৬), আনসার শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ (৪৮) ও মহব্বত শেখের ছেলে উকিল শেখ (৩৪)।
বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্দির সবুর মিয়ার কাছে আকরাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজনুল ইসেলাম জানান।
গত ১২ নভেম্বর ভোরে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মল্লিক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আবু বক্কররের বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে এক দল মুখোশধারী। পরে আবু বক্করকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনার আটদিন পর আবু বক্কর বাদি হয়ে একজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি মাহাতাব সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারুইপাড়া বাজার থেকে বুধবার রাতে আকরাম শেখকে আটক করে পুলিশ।পরে আবু বক্করের ওপর হামলা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনিসহ জাহাঙ্গীর ও উকিল শেখ এ হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেন।
পরে তার দেওযা তথ্যে ওই গ্রাম থেকেই জাহাঙ্গীর ও উকিল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রামের একখণ্ড জমি নিয়ে আবু বক্করের সঙ্গে প্রতিবেশী জাকারিয়া মোড়লের বিরোধ চলছে। জাকারিয়া তাদের পূর্ব পরিচিত। সেই সূত্রধরে গত ১১ নভেম্বর জাকারিয়া তাদের তিনজনকে বাড়িতে ডেকে আনেন।
সেখানে বসে আবু বক্করকে হত্যা করতে ২০ হাজার টাকায় তাদের সঙ্গে জাকারিয়া ও তার বোন জামাই রফিক পাইকের চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী জাকারিয়াসহ মোট ছয়জন মিলে আবু বক্করের বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, ঘটনার পর জাকারিয়া ও তার বোন জামাই রফিক পাইক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া তাদের এখনও আটক করা যায়নি।তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।