উপজেলার খুলনা-মংলা মহাসড়কের যুগীখালী সেতুর পাশে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর ওই কনস্টেবলকে পিটুনির দিয়ে স্থানীয়রা পুলিশে দেয় বলে জানান কাটাখালী হাইওয়ে থানার এসআই জামাল শেখ।
পরে মানবিক কারণে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফকিরহাট থানার ওসি আবু জাহিদ শেখ।
কনস্টেবল শাহনেওয়াজ পিরোজপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত। তার বাড়ি খুলনার রুপসা উপজেলার লবণচরা এলাকায়।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, “যা জানতে চেয়েছেন তার সবই ঠিক আছে, শুধু ভুল বোঝাবুঝি। স্থানীয় ফকিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী ইয়াছিনসহ এখানকার কর্মরত সাংবাদিকরা বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছেন।
“মাছ ব্যবসায়ি আব্দুর রবের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছিল সেই টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি খুবই মানবিক হওয়ায় আমি শাহনেওয়াজকে ছেড়েও দিয়েছি।”
তবে মিটমাটের বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে কাজী ইয়াছিন বলেন, “খবর পেয়ে থানা গিয়েছিলাম। শুনেছি ওই ব্যবসায়ী থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।”
এসআই জামাল বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা ছিনতাইকারী ধরেছে বলে হাইওয়ে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুর রব শেখ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই ব্যক্তি ১৯ হাজারের বেশি টাকা ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করলে তারা শাহনেওয়াজকে ধরে ফেলে এবং আরেকজন পালিয়ে যায়।
“সেখানে গিয়ে শাহনেওয়াজকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরে ফকিরহাট থানার এসআই স্বপন শাহনেওয়াজকে নিয়ে যান।”
পুলিশ সদস্য শাহনেওয়াজকে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, যে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছ ব্যবসায়ি আব্দুর রব শেখ কাটাখালী থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার পথরোধ করে তার কাছে মাদকদ্রব্য রয়েছে দাবি করে দেহ তল্লাশি শুরু করে। এ সময় দুই ব্যক্তি তার কাছে থাকা ১৯ হাজারের বেশি টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় আব্দুর রর ছিনতাইকারী বলে ডাকচিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে একজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ তাকে ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করে বলে জানান তারা।