ভোট গণনার সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে খুলনা সদর থানার ওসি এম এম মিজানুর রহমান জানালেও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা।
হামলার পর ভোট গণনা স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। ভাংচুরে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি প্যানেলে ৪০ প্রার্থী অংশ নেন।
“এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে ৫০/৬০ জনের একটি দল স্টেডিয়ামের মূল ফটকে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। তারা স্টেডিয়ামের নিচতলার তিনটি কক্ষ ও দ্বিতীয় তলার চারটি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। চেয়ার, টেবিল, চারপাশের গ্লাস, দরজা, জানালা ভেঙ্গে তছনছ করে।”
পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই- আলম ভোট গণনা স্থগিত করেন।
তিনি বলেন, ভোট স্টেডিয়াম ভবনে ঢুকে ভাংচুর চালানোর পর ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য মালামাল হেফাজতে নিয়ে ট্রেজারিতে রাখা হয়েছে। আপাতত ভোট গণনা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে স্টেডিয়ামে ভাংচুরের ঘটনায় প্রশাসনকে দুষছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী শামীম আহসান।
তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসন আমাদের মতামত না নিয়েই জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভবন নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। গ্লাস ও অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।”