উপজেলার গোপালপুর মৌজার দামার নামের পুকুর থেকে উপজেলা প্রশাসন অন্তত ২৫ মণ মাছ শিকার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পুকুরের মালিকানা দাবিকারী ওই এলাকার আবু জাহের মণ্ডল।
তিনি বলেন, উপজেলার গোপালপুর মৌজার দামার নামের ১ একর ২৮ শতক আয়তনের পুকুরটির মালিকানার দাবি করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজনকে বিবাদী করে হাই কোর্টে একটি রিট করেছেন।
“শুনানি শেষে হাই কোর্ট চলতি বছরের ১০ জুলাই থেকে পরবর্তী ছয় মাস ওই পুকুরের মাছ ধরা কিংবা ব্যবহারে কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দেয়।”
আবু জাহের অভিযোগ করেন, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ক্ষেতলাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রিয়াংকা দেবী পালের উপস্থিতিতে ওই পুকুর থেকে মাছ শিকার করে নিয়ে যায় উপজেলা প্রশাসন।
মাছ ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেবুন নাহার বলেন, পুকুরটি সরকারি খাস সম্পত্তি বলে তা এক নম্বর খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু মামলার বাদী আবু জাহের যেকোনো উপায়ে ওই পুকুরটি নিজ নামে খারিজ করে খাজনা দিয়ে আসছেন।
“দীর্ঘ দিন পর হলেও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় পুকুরটি আবারও সরকারি সম্পত্তি হিসেবে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া চলছে।”
আদালতের আদেশ বিষয়ে তিনি বলেন, হাই কোর্টের আদেশের কোনো কপি তারা পাননি।