শফিকুল সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সৈয়দপুর থানার পরির্দশক (তদন্ত) মো. শাহজাহান পাশা জানান, সোমবার শফিকুলকে সৈয়দপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার সকালে সৈয়দপুর পৌর শহরের কয়া নিজপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শফিকুলের স্ত্রী ৪২ বছর বয়সী ইসমত আরা তারার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিদর্শক শাহজাহান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ইসমতের ভাই মইনুল হক চৌধুরী রোববার রাতে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই পুলিশ শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।
“পারিবারিক কলহের জেরে শফিক তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।” বলেন তিনি
ইসমতের ভাই মইনুল হক বলেন, “শফিকুল পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে খুন করেছে। আমার বোনকে পাগল সাজিয়ে শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে আসছিল।”
“রোববার সকালে শফিকুলের বাড়ির লোকজন আমাদের মোবাইলে ফোন করে জানায় যে- ইসমত শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। সে গুরুত্বর অসুস্থ, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
তিনি বলেন, ওই সংবাদ পেয়ে আমি নওগাঁ থেকে সন্ধ্যায় সৈয়দপুরে আসি। এ সময় প্রতিবেশীরা জানায় আমার বোন খুন হয়েছে, লাশ থানায় আছে। পরে থানায় গিয়ে দেখি একটি রিকশাভ্যানে আমার বোনের লাশ দেখতে পাই।”