বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি পালনে শনিবার নিজ নিজ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
প্রশাসনের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, খেলাধুলা, আনন্দ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কোরআনখানি, মোনাজাত ও প্রার্থনা।
বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল প্রভাতফেরী, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি শুরু হয় রাত ১২টা ১ মিনিটে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও রেজিস্ট্রার এম এ বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর পর্যায়ক্রমে নানা অনুষ্ঠান চলতে থাকে দিনব্যাপী।
সকাল ৭টায় উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টরা বিশ্ববিদ্যালয় গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে (বধ্যভূমি) পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আনন্দ মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন ছিল।
সকাল পৌনে ১১টায় সিনেট ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট, ফুটবল ও হ্যান্ডবল খেলা এবং বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা এবং কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংগঠনের অনুষ্ঠান শুরু হয় সকালে।
সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাবি ইউনিট কমান্ড; কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতি এবং নিজ নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিজয় দিবসে রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের উন্মুক্ত রাখা হয়।